সম্ভাবনাময় পর্যটন ৫ম পর্ব

সম্ভাবনাময় পর্যটন ৫ম পর্ব

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখছে পর্যটন শিল্প

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম

পর্যটন আজ শিল্প হিসাবে বিশ্বে স্বীকৃত। উন্নত বিশ্বে এর প্রসার এত দ্রুত ঘটছে যে শিল্প মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিরাট অবদান রাখছে। এটি দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে সর্বাগ্রে প্রয়োজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ পর্যটন কর্মী তৈরি করা হচ্ছে। কারন, ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যাকে পর্যটন শিক্ষায় শিক্ষিত  ও দক্ষ জনশক্তিকে রুপান্তরের মাধ্যমে বিদেশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক। জনবল তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন তত্ত্ববাধনে গড়ে তোলেন হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
তৃণমূল সাংবাদিকতার স্খীকৃতি স্বরুপ একাধিক জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত মুহা: সাইফুল ইসলাম লেখা ‘সম্ভাবনাময় পর্যটন’ শিরোনামে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে শেষ পর্ব হচ্ছে,  বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখছে পর্যটন শিল্প।

পর্যটন একটি বহুমাত্রিক শিল্প। পর্যটন শিল্প উন্নয়ন ও প্রসারের ট্যুর অপারেটরদের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূণ। যে কোন দেশ সর্ম্পকে জানতে হলে ট্যুরস অপারেটর সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই দেশের পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান ও বিষয় সর্ম্পকে সহজ জানা যায়। এই ট্যুর অপারেটর সংস্থা সমূহ দেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান ও বিষয় নিয়ে প্যাকেজ ট্যুর পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বিমান অফিসসমূহ, বাংলাদেশ প্রাইভেট এয়ারলাইনস সমূহ বাংলাদেশে বিদেশী এয়ারলাইনস সমূহ অফিস পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান সমূহ ভ্রমনের সুবিধার্থে দূরপাল্লার এসি ও ননএসি কোচ সার্ভিসের অফিস সমূহ পর্যটন আকর্ষণীয় বিভিন্ন জেলার আবাসিক হোটেল সমূহ দেশী বিদেশী খাবারের জন্য রেস্তোরায় সমূহ রেস্তোরায় (সাধারন), রেস্তোরায় চাইনিজ থাই রেস্তোরায় আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, পর্যটক আগমন এবং তা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে এ বছর ৭ লাখ পরবর্তী বছর ২০১৭ সালে প্রায় ৮ লাখ ও ২০১৮ সালে ১০ লাখ পর্যটক নিয়ে আসা হবে বলে প্রত্যাশা করেছিল। পাশাপাশি এ খাত থেকে ২০১৬ সালে ৯৮০ কোটি ৩ লাখ টাকা (১২৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার) ২০১৭ সাল ১ হাজার ১৮২ কোটি ২৫ লাখ (১৫২ মিলিয়ন ডলার) বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০ সাল নাগাদ সারাবিশ্বে পর্যটকদের সংখ্যা দাড়াবে ১৬০ কোটিতে আর এ বিপুল সংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমন করবে এশিয়ার দেশগুলোতে যেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনা খুব বেশি।

সাম্প্রতিক বছরে ১০ লাখ পর্যটক বাংলাদেশ পরিদর্শন প্রত্যাশা করে তার বেশি পরিদর্শন করেছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদেশ পর্যটক আকর্ষনে একটি পরিকল্পনা মাধ্যমে বেশ সফলতা অর্জন করেছে বলে অনেকেই একমত পোষন করেছে। যেখানে পর্যটক আগমন এবং তা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েই চলেছে।